নিজস্ব প্রতিবেদক :
পবিত্র কোরবানির ঈদ ও বন্যাকে ঘিরে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার মধ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিপত্র (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ আশঙ্কার কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণের বিস্তার রোধে বেশকিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে। কিন্তু আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে কোরবানির পশুর হাটে ও ঈদযাত্রায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটা ব্যাহত হতে পারে। এতে করে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বন্যার কারণে অনেক এলাকায় একসঙ্গে এক জায়গায় অনেক মানুষকে আশ্রয় নিতে হচ্ছে। এতে করেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটা ব্যাহত হতে পারে। এই দুই কারণে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে দেশের কয়েক কোটি মানুষ প্রতিবছর এক কোটিরও বেশি পশু কোরবানির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়ায় আসন্ন ঈদুল আজহার পর কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার তীব্রতর হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
গত ঈদের মতো এবারো যাতায়াতে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পশুরহাটে ভিড়, সেখানেও স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। গত ঈদুল ফিতরের পর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা থেকেই এবারো তার পুনরাবৃত্তির আশংকা করছেন অনেকে।বাংলাদেশে গত একমাস ধরে কোভিড-১৯ সংক্রমণের চিত্র অনেকটাই স্থিতিশীল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন অবস্থা থেকে সংক্রমণ নিম্নমুখী করা সম্ভব যদি আসন্ন কোরবানির ঈদেও সেটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। কিন্তু ঈদে যান চলাচল উন্মুক্ত থাকায় সেটা কতটা হবে তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। এর সঙ্গে পশুর হাটে জনসমাগম নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।