লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
ঘুষ বাণিজ্য, দুর্নীতি ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে লক্ষ্মীপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) দুই কর্মকর্তার অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। অভিযুক্তরা হলেন, পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুল আমিন ও উপসহকারী প্রকৌশলী মোকতাদির।
৭ জুলাই সোমবার সকালে জেলা শহরের ঝুমুর এলাকায় পিডিবি অফিসের সামনে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। টানা বৃষ্টির মাঝেও শতাধিক গ্রাহক, ব্যবসায়ী ও ক্ষুদ্র শিল্প মালিক এতে অংশ নেন। এর আগে, একই দাবিতে গত ৩ জুলাই লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণেও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা। বিক্ষোভকারীরা জানান, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের অপসারণ না করা হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
বিক্ষোভকারীরা জানান, গত ২২ জুন হঠাৎ করে পিডিবির প্রায় দুই শতাধিক গ্রাহকের প্রিপেইড মিটার লক করে দেওয়া হয়। তাদের দাবি, ঘুষ না দেওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে অনেক গ্রাহক বিদ্যুৎহীন অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েন।
ভুক্তভোগীদের স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগে দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অন্তত ১৬টি অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অভিযোগগুলো হলো: ১.নিয়মিত বিল পরিশোধ করেও প্রিপেইড মিটারে ডিউ বিল দেখানো, ২.সরকারি মিটার ও ট্রান্সফর্মারের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়, ৩.এস.টি সংযোগের ভয় দেখিয়ে বাড়তি অর্থ গ্রহণ, ৪. সরকারি মালামাল বিক্রি, ৫. মিটার পরিবর্তন ও সংযোগে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, ৬.ফ্রি সেবার ক্ষেত্রে অর্থ গ্রহণ, ৭.নির্দিষ্ট ঠিকাদার ‘সবুজ’কে একচেটিয়া কাজ পাইয়ে দেওয়া ।
লক্ষ্মীপুর বণিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল আজিজ, কোষাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল কাশেমসহ অনেকেই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, “দুই কর্মকর্তার যোগদানের পর থেকেই পিডিবিতে চরম অনিয়ম শুরু হয়েছে। স্বেচ্ছাচারী আচরণ, ঘুষ দাবি ও দুর্ব্যবহার এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে।”
এর আগে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার বরাবর জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকারের মাধ্যমে এক স্বারকলিপিও প্রদান করেন তারা।
