সেই ইতালিয়ান পাসপোর্টধারীকে ফেরৎ পাঠিয়ে দিয়েছে ইতালি

106677730_3334492916609266_5108265065347735493_n.jpg

যোগাযোগ অনলাইন ডেস্ক :

আপনাদের অনেকেরই মনে আছে- আমাদের দেশে করোনা আক্রান্তের শুরুর দিকে দেশ ফেরত কিছু ইতালী প্রবাসী মানুষদের করোনা পরিক্ষা ও সুরক্ষার জন্য এয়ারপোর্ট থেকে আসকোনা হাজ্বী ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সরকারী অব্যবস্থাপনায় ক্ষুব্ধ হয়ে একজন প্রবাসীর আত্ম চিৎকার টেলিভিশন মিডিয়া আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেইসময় খুবই আলোচিত হয়েছিলো। বিষয়টি নিয়ে সরকারের দায়িত্বশীল এক মন্ত্রী তাদেরকে নবাবজাদা আখ্যা দিয়ে সমালোচিতও হয়েছিলেন। আর তখন বিরোধী দলসহ বহু মানুষ সরকারের সমালোচনার মুখর হয়েছিলো।

সেদিন সেই ইটালী প্রবাসী ছেলেটি সরকারী অব্যবস্থাপনায় ক্ষুব্ধ হয়ে বাংলাদেশ তথা আমাদের প্রিয় মাতৃভুমিকে নিয়ে যে অকথ্য ভাষায় তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে চিৎকার করছিলো তাতে অনেকের মতো আমাদেরও খুব খারাপ লেগেছিল। কারণ যতো কিছু হোক আমরা আমাদের দেশকে ভালোবাসি। অব্যবস্থাপনার জন্য আপনি সরকার পরিচালনাকারীদের সমালোচনা করতে পারতেন কিন্তু মাতুভুমিকে অবমাননা করে অন্য দেশকে বড়করে কথা বলা কোন ভাবেই উচিত হয়নি।


অথচ, দেখেন যে ছেলেটি- “আই এম ইতালিয়ান পাসপোর্টধারী”। “আই ফা.. বাংলাদেশ” বলে মাতৃভূমি বাংলাদেশকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে । অতি সম্প্রতি তাকেই এখন ইটালীর রোম বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে তার গর্বের ইতালি।
এখন কোথায় তার পাসপোর্টের অহংকার ? কিইবা পেল সে মিথ্যা অহংকারের পুরষ্কার? সে দেশের বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানোর সময় কোথায় গেলো তার চিৎকার? মাথা নিচু করে আসতেই হলো বাংলাদেশে।

প্রবাসীদের আমরা রেমিটেন্স যোদ্ধা বলে সম্মান করি। কারন তারা গতর খাটিয়ে, রক্ত পানি করে নিজ পরিবারকে বাঁচায়। নিজে খারাপ সময় অতিবাহিত করে পরিবারকে ভালো রাখার চেষ্টা করে। মাঝখান থেকে তার বৈধভাবে পাঠানো অর্থ আমাদের দেশেষ রেমিটেন্স ভিতকে শক্ত করে।

সাংবিধানিক ভাবে একটি গণতান্ত্রিক দেশে সরকার পরিচালনাকারী কোন দল বা গুষ্টির ব্যর্থতা আর অব্যবস্থাপনার সমালোচনা আপনি নাগরিক বা প্রবাসী হিসাবে করতেই পারেন (যদিও আমাদের দেশে এর চর্চা কম) তাই বলে এর জন্য নিজের মাতৃভূমিকে অবজ্ঞা, অবহেলা, অসম্মান কোন ভাবেই মেনে নেয়া উচিত নয়। এতে দেশ প্রেম থাকে না।

সেইতো আবার ফিরে আসতেই হলো “আই ফা.. বাংলাদেশ” এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top