কুয়েতে গ্রেফতারকৃত এমি পাপুলের বার্ষিক মুনাফা ছিল ৫৫ কোটি টাকা

papul-2.jpg

শিগগিরই মিলছে না মুক্তি

লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের কুয়েতে বার্ষিক আয় বা মুনাফা কত তা নিয়ে কৌতূহল কুয়েতের সংবাদমাধ্যমগুলোর। কুয়েতের দুই কর্মকর্তাকে ২১ লাখ কুয়েতি দিনার (প্রায় ৫৮ কোটি টাকা) ঘুষ দেওয়ার পরও পাপুলের বার্ষিক মুনাফা ছিল ২০ লাখ দিনার (প্রায় ৫৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা)। কুয়েতে পাপুলের অফিসের কর্মীরাই তদন্তকারীদের এ তথ্য জানিয়েছেন বলে আরব টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এদিকে আগামী ৬ জুলাই এমপি পাপুলের বিরুদ্ধে কুয়েতে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ উত্থাপনের কথা রয়েছে। এর আগ পর্যন্ত পাপুলকে কারাগারেই থাকতে হবে। তাই খুব শিগগির তাঁর মুক্তির কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না বলে কুয়েত থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে। কুয়েত সরকার এরই মধ্যে মানবপাচারের অভিযোগের বিষয়ে কঠোর মনোভাব দেখিয়েছে। অপরাধ প্রমাণ হলে পাপুলের পাঁচ থেকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা হতে পারে।

উল্লেখ্য, মানবপাচার, মুদ্রাপাচার ও শ্রমিক নিপীড়নের অভিযোগে গত শনিবার কুয়েতের সিআইডি পাপুলকে তাঁর অফিস থেকে গ্রেপ্তার করে। কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস পাপুলের বিষয়ে জানতে চেয়ে কুয়েত সরকারকে চিঠি দিলেও কোনো জবাব আসেনি বলে জানা গেছে। কুয়েতের গণমাধ্যমে বাংলাদেশের ওই সংসদ সদস্যকে নিয়ে প্রতিদিনই কোনো না কোনো খবর প্রকাশিত হচ্ছে। পাপুলের অপকর্মের সহযোগী হিসেবে কুয়েতের জ্যেষ্ঠ তিন কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। কুয়েতের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, পাপুল কুয়েতের জনশক্তি কর্তৃপক্ষের দুজন পরিচালক এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তাকে ঘুষ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। পাপুলের বিরুদ্ধে অন্তত ১১ জন বাংলাদেশি সাক্ষ্য দিয়েছেন।

এদিকে দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগে বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) এমপি পাপুলের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top