সব মাদ্রাসায় ছাত্রলীগের কমিটি চাইলেন নিক্সন

Nokson.jpg

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন দাবি তুলেছেন, দেশের সকল মাদ্রাসাগুলোতে ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করে দেয়ার।

শনিবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে গৌরব একাত্তর আয়োজিত ‘মৌলবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধে জাগরণ’ শীর্ষক এক সমাবেশে তিনি এ দাবি তুলেন।

নিক্সন চৌধুরী বলেন, সরকারকে অনুরোধ করবো, যেন প্রত্যেক ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, থানা ও জেলা পর্যায়ে যেসব মাদ্রাসা রয়েছে, সবকটিতে ছাত্রলীগের কমিটি করে দেন এবং মাদ্রাসার গভর্নিং বডিতে নির্বাচিত সদস্যদের দিয়ে দেন। মামুনুল হকদের মতো জঙ্গিদের কাছে পাকিস্তানি অর্থ কোথা থেকে আসে, সেটা বের করেন। আমরা বারবার আন্দোলনে যাই, আবার থেমে যাই। এবার আমাদের শপথ নিতে হবে যে, চিরতরে যেন এই জঙ্গিবাদকে নির্মূল করা যায়।

তিনি বলেন, জন্মের পর থেকে আমরা ভাস্কর্য দেখে আসছি। আমার প্রশ্ন একটাই সেটা হলো; এতো বছর পর যখন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরি করতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে, তখনই এই মৌলবাদী যারা এক সময় জামাত নামে পরিচিত ছিল, এখন জামাত ভেঙে হেফাজত হয়ে গেছে, তারা আজ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের প্রতিবাদ করছে। এতদিন ধরে জিয়াউর রহমান সাহেবের ভাস্কর্য নিয়ে কেউ কথা বলেনি।

জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্য চট্টগ্রামে আছে, সেটি নিয়ে কেউ কথা বলেনি। এখন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করার এই দুঃসাহস মামুনুল হকরা কোথায় পায়? এটি ষড়যন্ত্র।

তিনি আরো বলেন, এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে পাকিস্তানের পরাজিত শক্তিরা জড়িয়ে আছে। আমরা সহজ কথায় বলতে পারি, মৌলবাদী শক্তির বিরুদ্ধে আমরা মাঠে নেমেছি। আমরা এ তরুণ প্রজন্ম যারা স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারিনি, কিন্তু আমাদের বাবারা সৌভাগ্যমান, তারা স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই প্রজন্মেরও সময় আসছে আরেকটা যুদ্ধে নামার। ৯ মাস না, ছয় মাসের মধ্যে এই মৌলবাদীদের পরাজিত করে তাদের পাকিস্তানে পাঠাতে হবে।

এস এম মনিরুল ইসলাম মনির সভাপতিত্বে এবং এফ এম শাহীন এর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, আওয়ামী যুবলীগের নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি কোহেলী কুদ্দুস মুক্তিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তিযেদ্ধাগণ, বিশিষ্ট রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

scroll to top