দু’র্নীতিবাজদের প্রকাশ্যে মেরে ফেলা উচিত : ড. সৈয়দ আনোয়ার

bangla-academy.jpg

অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন (ফাইল ছবি)

যোগাযযোগ ডেস্ক :

গবেষক, ইতিহাসবিদ ও লেখক অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন বলেছেন, দু’র্নীতি নির্মূল করতে বিচার করে প্রকাশ্যে দু’র্নীতিবাজদের মে’রে ফেলা উচিত। আমি মনে করি বাংলাদেশে সময় এসে গেছে এই ধরনের কাজীর বিচারের। এ সময় ইতিহাস থেকে ইরানের শাসক রেজা খানের সময়কার একটি ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। সোমবার মধ্যরাতে চ্যানেল আইতে সরাসরি সম্প্রচারিত ‘আজকের সংবাদপত্র’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক তারিকুল ইসলাম মাসুম।

তখন ইরানে রাস্তাঘাট নির্মাণ হচ্ছিল। যেকোনো স্থাপনা নির্মাণ শেষ হলে রেজা নিজেই পরিদর্শন করতেন। একটি রাস্তা তৈরি হয়েছিল, বড়সড় রাস্তা। প্রায় সপ্তাহ খানেক পরে তিনি ওই রাস্তা পরিদর্শনে গিয়ে দেখেন সেখানে রাস্তার মাঝখান থেকে চিড় ধরে গেছে। যেমন কয়দিন আগের কাগজে দেখলাম (আমাদের দেশে) রাস্তায় কার্পেটিং করার দুই দিনের মধ্যে সব কিছু উঠে গেছে। এই কাজটি নিশ্চয়ই স’রকারি কাজ, এটা বেস’রকারি কাজ নয়। যাই হোক তিনি (ইরানের সাবেক শাসক রেজা খান) বললেন, এটা কোন কন্ট্রাক্টর করেছে খোঁজ দাও।

পরে ওই কন্ট্রাক্টরকে তিনি আমন্ত্রণ জানালেন নিজের প্রাসাদে। কন্ট্রাক্টর তো খুব খুশি, স্বয়ং বাদশা তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। রেজা খান কন্ট্রাক্টরকে তুলে নিয়ে তিন তলার ছাদে নিয়ে গেলেন। নিয়ে গিয়ে বললেন, আমি তো তোমার রাস্তা দেখেছি। তুমি লাফ দিয়ে পড়বে নাকি; তোমাকে আমি ফায়ারিং স্কোয়াডে মারবো। বেচারা কন্ট্রাক্টর ভাবলো লাফ দিয়ে পড়ে যদি বেঁচে যাই। কিন্তু লাফ দিয়ে পড়ে সে বাঁচেনি। এই সমস্ত করার ফলে ইরানে দু’র্নীতি হয়নি। নির্মাণ সংক্রান্ত কোনো দু’র্নীতির খবর এরপরে আমরা ইতিহাসে পাইনি। তো বাংলাদেশে তেমনটা করা হয় না কেন? আমার প্রশ্ন।

অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রসঙ্গক্রমে আমি ইতিহাস থেকে তথ্য তুলে আনছি- ৪০ দশকের দিকে ইরানের শাসক ছিলেন রেজা খান। তিনি বলেন, এটা আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি। মানুষকে বাঁচানোর জন্য, কোটি মানুষকে বাঁচানোর জন্য একজন মানুষকে আমি হ’ত্যা করতে পারি। এটা আমার দৃষ্টিভঙ্গি। কারণ সেইভাবে পৃথিবী এগিয়েছে। তা না হলে পৃথিবী এগুতে পারে না। সেজন্য আমি মনে করি বাংলাদেশে সময় এসে গেছে এই ধরনের কাজীর বিচারের। (সূত্র : চ্যানেল আই)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top